আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ।
- আপডেট সময় : ০৪:০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :লক্ষ্মীপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে তার ভাই কাশেম, ভাতিজা আলমগীর,সুমন ও রুবেল সহ ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীর বাড়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকালে কমলনগর প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী হাজী মোসলেহ উদ্দিন এ অভিযোগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের মৌলভীর হাট এলাকার ভূইয়া বাড়িতে দখলের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত মানিক সদর থানা বিএনপির সদস্য ও তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের যুগ্ম-আহবায়ক এবং ওই এলাকার আক্কাসের বাপের বাড়ির আবদুল মন্নান মাঝির ছেলে।
এ ঘটনায় বাঁধা দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় ওই বাড়ির জাহানারা বেগম, আকলিমা আলম,খুরশিদ আলম ও বিবি রাহিমা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সনে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মোসলেহ উদ্দিন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর উভুতি মৌজার ১৪৪৯ খতিয়ানের ৮৩০৫, ৮৩০৬, ৮৩৩৯ ও ৮৩৪০ এবং ১৭১৩ খতিয়ানের ৮৩০৪ দাগে ওই এলাকার আবদুর রহমান থেকে ৭২ শতাংশ জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন ।
কিন্তু গত ৩ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের সালাহ উদ্দিন মানিক,তার ভাই কামাল উদ্দিন ভাতিজা সুমন জোরপূর্বক ৭২ শতক জমি দখলের চেষ্টা করে। উপায়ান্তু না পেয়ে মোসলেহ উদ্দিন লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেন। এবং লক্ষ্মীপুরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে একই অভিযোগ দেন। অভিযুক্তরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বাড়িতে ডুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জোরপূর্বক ৭২ শতক জমি দখল করে সিমানা পিলার দেয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর জমির মালিক মোসলেহউদ্দিন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ করলে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে লক্ষ্মীপুর মডেল থানাকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। কিন্তু সালাহউদ্দিন ও তার লোকজন আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওই জমি দখল করে নেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ২৫ বছর আগে এই সম্পত্তি আমি ক্রয় করি এবং ওই জমিতে আমার মেয়ে বসবাস করে আসছে কিন্তু সরকার পতনের পর বিএনপির দোহাই দিয়ে ওই এলাকার সালাহউদ্দিন মানিক ও তার লোকজন আমার মেয়েকে মারধর করে জোরপূর্বক জমি দখলে নেয়। প্রশাসনের কাছে জমির পুনরুদ্ধার সহ এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান বলে তিনি আরো জানান।
অভিযুক্ত সালাহ উদ্দিন মানিকের নাম্বারে ফোন দিলে সে নিজের জমি দাবি করে দখল করার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি বিএনপির সদর উপজেলার সদস্য ও তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নের যুগ্ম-আহবায়ক।
এ ঘটনাটি আমার নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি,শাহাব উদ্দিন শাবু ও মাইন উদ্দিন রিয়াজ জানেন বলেও প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা মানিক।
। দখলের ঘটনাটি জানতে, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করে,ও তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি, বিদায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায় নি। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাবউদ্দিন শাবু জনান,আমরা দখলদারদের বিরুদ্ধে, আমরা কোন নেতা কর্মীকে আমি অথবা সহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এইরকম কোন কথা বলিনি এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা যারা,বলেছেন তারা আমাদের নাম বিক্রি করেছেন,আপনারা তাদের বিরুদ্ধে লিখেন আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাইন উদ্দিন রিয়াজ জানেন,আমি থাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইয়াসিন ফারুক মজুমদার ভুঁইয়া বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।
স্থিতিবস্থার নোটিশ প্রদানকারী এ এস আই জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আদালতের স্থিতিবস্থা বজায় রাখার জন্য সতর্ক করে দেই। উভয়পক্ষকে থানায় হাজির হতে বলি।