কমলনগরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৩ পদে নিয়োগের অভিযোগ।
- আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক :লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ তিন পদে নিয়োগে ১৫ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। নিয়োগে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সভাপতির মামাসহ আরও দুই পদে তার নিকটাত্মীয় নিয়োগের বিষয়টি পূর্ব নির্ধারিত বলে অভিযোগ করেন বিদ্যালয়টির সদ্য নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য সাহাব উদ্দিন মেম্বার।এদিকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে ওই এলাকার মিরাজ হোসেন থেকে চার লাখ টাকা নেন সভাপতির মামা হারুনুর রশিদ ডিলার। তাকে বাদ দিয়ে সভাপতির আত্নীয়কে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ না পাওয়া মিরাজ হেসেন বলেন, আহমদ উল্যাহ সবুজের মামা হারুনুর রশিদ ডিলার আমাকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে চার লাখ টাকা দাবি করে।আমি তার কথামত চারলাখ টাকা দিয়েছি।পরীক্ষার জানতে পারলাম সভাপতি তার আরেক আত্মীয় থেকে টাকা নিয়েছে। আমার পরীক্ষা ভাল হওয়ার পরও আমাকে নিয়োগ দেয়নি। এখন টাকা ফেরত দিতেও তালবাহানা করে।
এর আগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক, জেলা মাধ্যামিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষা বোর্ডে একাধিকবার সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দেন।সাহাব উদ্দিন মেম্বার জানান , নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আহমেদ উল্যাহ সবুজ দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি। দীর্ঘ ৩ মেয়াদে সভাপতির দায়িত্বে থাকাসহ তার কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন ওই বিদ্যালয়ে থাকায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।গত ২৯ মে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এতে আমি ১৫৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হই। কিন্তু শিক্ষা বোর্ডে তালিকা আমার নাম তৃতীয়স্থানে দেখানে হয়ছে।। চলতি বছরের ১লা জুন তিন পদে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সভাপতি সবুজের আপন মামা আবুল বাশার, অফিসহায়ক ইসমাইল সভাপতি’র বাল্যবন্ধু, নিরাপত্তাকর্মী এমরান হোসেন সভাপতি’র আপন শালা কে মোট ১৫ লাখ টাকা বিনিময়ে নিয়োগ দেন তারা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আত্মীয় করনের যে দৃষ্টান্ত সবুজ স্থাপন করেছে সবুজ আমি অভিভাবক সদস্য হিসাবে এই নিয়োগ বাতিল সভাপতি পদ বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে অত্র বিদ্যালয় টি মোট শিক্ষক কর্মচারী মধ্যে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ জনসহ আরো বিদ্যালয়ে কর্মরত আছে ৫ জন সবাই আহমদ উল্যাহ সবুজ এবং বর্তমান সভাপতি বেলায়েত হোসেন’র নিকটআত্মীয়।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক মো. জয়নুল আবেদিন (ইসলাম শিক্ষা) তিনি সভাপতির আপন চাচা। বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক নুরুন্নবী চৌধুরী (শরীর চর্চা) তার আপন চাচা। মোঃ নুরুল কাওছার সহ-প্রন্থাগারিক তার আপন জেঠাতো ভাই এবং নৈশপ্রহরী সহেল তার আপন চাচাতো ভাই।
বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য মার্টিন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডাঃ আলী আহমদ জানান, আহমেদ উল্যাহ সবুজ বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ সত্য। তিনি আরো বলেন, কমিটির সদস্য সাহাব উদ্দিন মেম্বার ফেসবুক লাইভে এসে তাদের সকল অপকর্মে ফাঁস করে দিয়েছে। এটা বিদ্যালয় নয় আত্মীয় পুনর্বাসন কেন্দ্র।দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় এর নবনির্বাচিত সভাপতি বেলায়ত হোসেন মাহমুদ জানান আমার এক চাচাকে সাবেক সভাপতি ডাঃ আলী আহমদ ১৯৯৫ নিয়োগ দিয়েছে আমাদের পরিবারের আট জন সদস্য চাকুরী করে এটি সত্য নয় ফেসবুকে লাইভ এসে যারা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবো। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, নিয়োগ বিষয়টা সরাসরি এ্যাসিলেন্ট নিয়ন্ত্রণ করে,আর নিয়োগের বিষয়ে যারা ঘুষ লেনদেন করেছে তাদেরকে শক্ত করে ধরেন।উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শামসুদ্দিন রেজা জানান, আমি যে সকল অ্যাপ্লিকেন্ট পেয়েছি তাদের যথাযথ সকল প্রসেসমেন্টিন করেছি আমি নিয়োগ বোর্ডের প্রশ্নগুলো স্ট্যান্ডার্ড মানের করেছি,যারা উত্তীর্ণ হয়েছে লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা দুইটাতে ভালো করেছে।প্রধান শিক্ষক পদে তিনজন প্রার্থী থাকার পরেও নিয়োগ পরীক্ষা না হওয়ার বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের জবাব যথাযথ না হয় তিনি বিষয়টা জেলা প্রশাসক কে জানাবেন বলে জানান।