ঢাকা ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কমলনগরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আনসার বাহিনীর বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ। প্রধানের সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্ম বিরতি। কমলনগরে বন্যার্তদের মাঝে জাতীয় পার্টির ত্রাণ বিতরণ। ইউসুফ আলী চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ।  কমলনগরের আনসার ও ভিডিপির বৃক্ষরোপণ। কমলনগরে আ’লীগ সভাপতিকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা সম্পাদকের লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। কমলনগরে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ৩ পদে নিয়োগের অভিযোগ। ইউপি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ।

ইউপি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ।

মো: ইব্রাহীম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক ইউ পি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যের নাম মোঃ জামাল হোসেন। তিনি ৩ নং চর লরেঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।মামলায় এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল পারভিন আক্তারের সাথে অন্তর নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারভিন আক্তারের সাথে দেখা করতে রাত ১ টায় অন্তর পারভিনের বাড়িতে আসে। পরে এলাকাবাসী অন্তর এবং পারভীন কে আটক করে, সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামালের বাড়িতে নিয়ে আসে কিন্ত তখন জামাল মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ চাউল বিতরনের তালিকা প্রয়নয়নের কাজে ব্যস্থ ছিলো এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে,এবং বিস্তারিত জেনে অন্তর কে থানায় নিয়ে যায়।৩ এপ্রিল ভুক্তভোগী পারভিন আক্তারের মা সাবেরা খাতুন বাদী হয়ে অন্তরের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অন্তরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।সরে জমিনে গিয়ে জানাগেছে পারভিন আর অন্তর কে কেন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জামাল মেম্বার এই জন্য তার বিরুদ্ধে পারভিন মা সাবেরা খাতুন বাদী হয়ে কমলনগর থানা ছাগল চুরি ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।এলাকাবাশীর দাবি বাদী নাকি নিজে ছাগল টি অন্যত্র বিক্রি করে দিছে। পরে পুলিশ ছাগল টি রামগতি থেকে উদ্ধার করেছে। এতে এলাকা সাধারন

মানুষ ফুসে উঠছে, মারফত উল্যা সমাজের সভাপতি হাজী এনায়েত উল্লাহ মিয়া জানান, সাবেরা খাতুন আমার সমাজের সবচেয়ে গরীব মহিলা আমি সমাজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জন থেকে নগদ অর্থ সহয়তা দিয়ে এবং শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লী দের থেকে নগদ সহয়তা দিয়ে কোন রকম তাদের জীবন জীবিকা চলে আর আমাদের জামাল মেম্বার সাহেব বিরুদ্ধে যে মামলা করছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলা অন্য কারো পরোচনা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা টি করেছে এটির বৃন্দ মাত্র সত্যতা নেই।অত্র এলাকার আবুল কাশেম জানান, আমাদের সকলের সহযোগীতা নিয়ে এই গরীব মহিলার পরিবার চলে এবং জামাল মেম্বার তাদের ভিজিএফের চাউল ও নগদ টাকা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকে অথচ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়েছে।সাবেরা বেগম এর ভাইয়ের বৌ বিবি কুলছুম বেগম জানান, সাবেরা বেগম চলে এলাকাবাসী ও মেম্বার এর আর্থিক সহায়তা নিয়ে তারা কি ভাবে চাঁদা দিবে বা মেম্বার চাঁদা নিবে সাংবাদিক উদ্দেশ্য বলেন সহজ কথা বুজেন? তারা চলে ভিক্ষা করে তারা কি ভাবে চাঁদা দিবে? মেম্বার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।শাহেদা খাতুন বলেন, পারভিন আমার ননদের মেয়ে তাকে বেশ কয়েকবার ভিবিন্ন ছেলের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্তহ হওয়ার কথা জানান। এলাকার গনমান্য ব্যাক্তি’রা গরীব বলে তাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েছে তার কারনে আমরা এলাকায় মুখ দেখাতে পারি না। আমরা সাবেরা এবং তার মেয়ে কে সমাজ থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানাচ্চি। এই প্রতিবেদকের সাথে ৮ নং ওয়ার্ডের জামাল মেম্বার বলেন সাংবাদিকরা জাতির বিবেক আপনারা সত্য টা উদঘাটন করেন আমার এলাকায় কোন লোক বলেতে পারবেন আমি কারো থেকে দশ টাকা নিয়েছি এমন যদি কেউ বলতে পারে আমি এলাকা ছেড়ে চলে ইউপি সদস্য পদ থেকে অব্যবহি নিব। সবুরা খাতুন ও তার মেয়ে পারভীন একটা জানান, মেম্বারের উপস্থিতিতে চৌকিদার আমাকে মারছে, মেম্বার কিছু বলেনি, এবং আমাদের বিচার করেনি, মেম্বার আমাদের পুলিশে দিয়েছে তাই আমরা মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে মামলাটি নেয়া হয়েছে, মামলার ঘটনায়
একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে, এবং মামলার তদন্তাধীন তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ইউপি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ।

আপডেট সময় : ০৫:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে এক ইউ পি সদস্যকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।ভুক্তভোগী ইউপি সদস্যের নাম মোঃ জামাল হোসেন। তিনি ৩ নং চর লরেঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার।মামলায় এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত ২ এপ্রিল পারভিন আক্তারের সাথে অন্তর নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারভিন আক্তারের সাথে দেখা করতে রাত ১ টায় অন্তর পারভিনের বাড়িতে আসে। পরে এলাকাবাসী অন্তর এবং পারভীন কে আটক করে, সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামালের বাড়িতে নিয়ে আসে কিন্ত তখন জামাল মেম্বার ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ চাউল বিতরনের তালিকা প্রয়নয়নের কাজে ব্যস্থ ছিলো এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে,এবং বিস্তারিত জেনে অন্তর কে থানায় নিয়ে যায়।৩ এপ্রিল ভুক্তভোগী পারভিন আক্তারের মা সাবেরা খাতুন বাদী হয়ে অন্তরের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অন্তরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।সরে জমিনে গিয়ে জানাগেছে পারভিন আর অন্তর কে কেন পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জামাল মেম্বার এই জন্য তার বিরুদ্ধে পারভিন মা সাবেরা খাতুন বাদী হয়ে কমলনগর থানা ছাগল চুরি ও চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে।এলাকাবাশীর দাবি বাদী নাকি নিজে ছাগল টি অন্যত্র বিক্রি করে দিছে। পরে পুলিশ ছাগল টি রামগতি থেকে উদ্ধার করেছে। এতে এলাকা সাধারন

মানুষ ফুসে উঠছে, মারফত উল্যা সমাজের সভাপতি হাজী এনায়েত উল্লাহ মিয়া জানান, সাবেরা খাতুন আমার সমাজের সবচেয়ে গরীব মহিলা আমি সমাজের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জন থেকে নগদ অর্থ সহয়তা দিয়ে এবং শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লী দের থেকে নগদ সহয়তা দিয়ে কোন রকম তাদের জীবন জীবিকা চলে আর আমাদের জামাল মেম্বার সাহেব বিরুদ্ধে যে মামলা করছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট মামলা অন্য কারো পরোচনা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা টি করেছে এটির বৃন্দ মাত্র সত্যতা নেই।অত্র এলাকার আবুল কাশেম জানান, আমাদের সকলের সহযোগীতা নিয়ে এই গরীব মহিলার পরিবার চলে এবং জামাল মেম্বার তাদের ভিজিএফের চাউল ও নগদ টাকা দিয়ে তাদের সহযোগিতা করে থাকে অথচ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দিয়েছে।সাবেরা বেগম এর ভাইয়ের বৌ বিবি কুলছুম বেগম জানান, সাবেরা বেগম চলে এলাকাবাসী ও মেম্বার এর আর্থিক সহায়তা নিয়ে তারা কি ভাবে চাঁদা দিবে বা মেম্বার চাঁদা নিবে সাংবাদিক উদ্দেশ্য বলেন সহজ কথা বুজেন? তারা চলে ভিক্ষা করে তারা কি ভাবে চাঁদা দিবে? মেম্বার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।শাহেদা খাতুন বলেন, পারভিন আমার ননদের মেয়ে তাকে বেশ কয়েকবার ভিবিন্ন ছেলের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্তহ হওয়ার কথা জানান। এলাকার গনমান্য ব্যাক্তি’রা গরীব বলে তাকে সবাই ক্ষমা করে দিয়েছে তার কারনে আমরা এলাকায় মুখ দেখাতে পারি না। আমরা সাবেরা এবং তার মেয়ে কে সমাজ থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানাচ্চি। এই প্রতিবেদকের সাথে ৮ নং ওয়ার্ডের জামাল মেম্বার বলেন সাংবাদিকরা জাতির বিবেক আপনারা সত্য টা উদঘাটন করেন আমার এলাকায় কোন লোক বলেতে পারবেন আমি কারো থেকে দশ টাকা নিয়েছি এমন যদি কেউ বলতে পারে আমি এলাকা ছেড়ে চলে ইউপি সদস্য পদ থেকে অব্যবহি নিব। সবুরা খাতুন ও তার মেয়ে পারভীন একটা জানান, মেম্বারের উপস্থিতিতে চৌকিদার আমাকে মারছে, মেম্বার কিছু বলেনি, এবং আমাদের বিচার করেনি, মেম্বার আমাদের পুলিশে দিয়েছে তাই আমরা মেম্বারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান,প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে মামলাটি নেয়া হয়েছে, মামলার ঘটনায়
একটি ছাগল উদ্ধার করা হয়েছে, এবং মামলার তদন্তাধীন তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।