সেই বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক এবার পিঠালেন স্কুলের পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে ।
- আপডেট সময় : ০৭:০৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:কমলনরে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী মো: মিনহাজ উদ্দিনের উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওই স্কুলের ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি সুচিত্র রঞ্জন দাস বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতনের শিকার মো: মিনহাজ উদ্দিন।অভিযোগের কারণে চাকরিচ্যুত করা ও আবারো নির্যাতনের হুমকি দিচ্ছে প্রধান শিক্ষক।এতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিচ্ছন্ন কর্মী মো: মিনহাজ।গত রবিবার সন্ধ্যায় মো: মিনহাজ কে স্কুলের ভিতরে কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে বেদম নির্যাতন করে আহত করে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,মো: মিনহাজ উদ্দিন গত ৩ বছর থেকে স্কুলের এমপিও ভুক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসাবে স্কুলের যাবতীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে।
স্কুলের নৈশপ্রহরী না থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলন মিনহাজকে পরিচ্ছন্নতার কাজের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে ১ মাসের জন্য নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতে বলেন। প্রধান শিক্ষকের সম্মানার্থে মিনহাজ অতিরিক্ত নৈশপ্রহরী’র দায়িত্ব গত ১ বছর থেকে বিনা পারিশ্রমিকে করে আসছে। গত ১৪ জানুয়ারি মিনহাজ নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব আর পালন করতে পারবেনা বলে প্রধান শিক্ষককে জানালে সাথে সাথেই স্কুলের ভিতরে থাপ্পর, কিল, ঘুসি ও লাথি দিয়ে মিনহাজকে অমানুষিক নির্যাতন করে আহত করে।এতে মিনহাজ স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্কুলের পরিচ্ছন্ন কর্মী মো:মিনহাজ উদ্দিন বলেন, ১ মাসের কথা বলে বিনা টাকায় ১ বছর নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করি।এর ভিতরে শুক্র-শনিবার সহ স্কুল বন্ধের দিনও আমাকে দায়িত্ব পালন করতে হতো।আমার বিশেষ প্রয়োজনে ছুটি চাইলে,ছুটি না দিয়ে প্রধান শিক্ষক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি দিতো।এবং শুধু এবার নয়, অসংখ্য বার তার হাতে মার খেতে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,প্রধান শিক্ষক তার নতুন বসতঘরের ভবন নির্মানের জন্য রাজমিস্ত্রীর সাথে আমাকে দিয়েও কাজ করাতো। লিখিত অভিযোগ কেন করেছি এজন্য আমাকে চাকরিচ্যুত করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।স্কুলে গেলেও নাকি আবারো মারবে তাই স্কুলে যেতেও ভয় পাচ্ছি।
এ বিষয়ে চর লরেন্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক দোলনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান,অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস আগে এই স্কুলের এক ৭ম শ্রেনীর ছাত্রকে নির্যাতন করে টিসি দেওয়ার ঘটনায় এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক কে কারাভোগ করতে হয়েছে।ওই মামলায় তিনি এখন জামিনে আছেন।